সম্মিলিত মোনাজাত নাকি বিদাআত। নামাজ শেষে দোয়া করা সুন্নত তবে সম্মিলিত নয়। সূরা আরাফের ৫৫ নং আয়াতে এটার কিছু সাদৃশ্যতা পাওয়া যায়। যেমনঃ
ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
উদ‘ঊ রাব্বাকুম তাদাররু‘আওঁ ওয়া খুফইয়াতান ইন্নাহূলা-ইউহিব্বুল মু‘তাদীন।
অর্থ:
তোমরা বিনীতভাবে ও চুপিসারে নিজেদের প্রতিপালককে ডাক। নিশ্চয়ই তিনি সীমালংঘন- কারীদেরকে পছন্দ করেন না।
এসম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।
নামাযের পর বা ফরজ নামাযের জামা‘আতের পর কোন প্রকার বাড়াবাড়ি ব্যতিরেকে আমাদের দেশে যে মুনাজাত প্রচলিত আছে, তা মুস্তাহাব আমল; বিদ‘আত নয়। কারণ-বিদ‘আত বলা হয় ঐ আমলকে, শরী‘আতে যার কোন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ উক্ত “মুনাজাত” বহু নির্ভরযোগ্য রিওয়ায়াত দ্বারা সুপ্রমাণিত। এ ব্যাপারে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আমল ও নির্দেশ বিদ্যমান। তাই যারা মুনাজাতকে একেবারেই অস্বীকার করে, তারাও ভুলের মধ্যে রয়েছে।আবার যারা ইমাম-মুক্তাদীর সম্মিলিত মুনাজাতকে সর্বাবস্থায় বিদ‘আত বলে, তাদের দাবীও ভিত্তিহীন এবং মুনাজাতকে যারা জরুরী মনে করে, এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে এবং কেউ না করলে তাকে কটাক্ষ করে, গালী দেয় তারাও ভুলের মধ্যে আছে।
♣◘♦ মুনাজাতের স্বপক্ষে কুরআন ও হাদীসের দলীলসমূহ ♦◘♣
► নামাযের পর মুনাজাত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ:
১। হযরত যাহ্হাক (রাঃ) সূরা ইনশিরাহ তথা আলাম নাশরাহ এর উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, যখন তুমি ফরজ নামায থেকে ফারেগ হবে তখন আল্লাহর দরবারে দু‘আতে মশগুল হবে। (তাফসীরে দূররে মানছূর : ৬/৩৬৫)
২। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, “যখন তুমি ফরজ নামায হতে ফারেগ হও, তখন দু‘আয় মশগুল হয়ে যাবে।” (তাফসীরে ইবনে আব্বাস (রাঃ), ৫১৪ পৃঃ)
৩। হযরত কাতাদাহ, যাহহাক ও কালবী (রাঃ) হতে উক্ত আয়াতের তাফসীরে বর্ণিত আছে, তাঁরা বলেন-‘ফরজ নামায সম্পাদন করার পর দু‘আয় লিপ্ত হবে’। (তাফসীরে মাযহারী, ১০/২৯৪ পৃঃ)