আমি বিয়ে করেছি প্রায় ১৬ বছর, ০৩ সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী কে কোন ক্রমেই আমার মত বা আমার সিন্ধান্ত মত চলতে বাধ্য করতে পারছি না, অনেক রাগ করে, বকা দিয়ে, বুঝিও কোন কাজ হয় না। একরকম তার খাম খেয়ালি মত চলতে পছন্দ করে যা আমার সহ্য হয় না। দরুন সময় মত নামাজ আদায় করতে বললে করবে না, কোন পছন্দের খাবার তৈরি করতে বললে করবে না, এরকম প্রতিনিয়ত মনমানিল্য চলে আসছে। সন্তানের কারণে কঠিন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, আবার তার পরিবারেও তেমন তাকে শাসন বা খাওয়ানোর মত কেউ নেই। এতকিছুর পরও আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে জীবন যাপন করে আসছি, ইদানীং তার খামখেয়ালীপনার মাত্র বেড়ে গেছে আমারও ধৈর্য্য ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। তার জেদ বাচ্চাদের উপর গিয়ে পড়ে।
কি করবো বুঝতে পারছি না, খুব হতাশ হয়ে লিখলাম। জীবন বিষাদময় হয়ে গেছে। একদিকে সন্তান অন্য দিকে তারও কেউ নেই আবার সেই মনে হচ্ছে বুঝতে পেরেও না বুঝার বান করে এ-সব করে। পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
এডমিন অনেক ভালো পরামর্শ দিয়েছেন।
ধৈর্য ক্ষমতা কমে আসলে নবীজীর কথা মনে করবেন সে কিভাবে চলত। আর মনে করবেন এটাও আল্লাহর দাওয়া এক পরীক্ষা।
পরিবর্তন নিজের থেকেই শুরু। পরিবার সহ মাস – দুমাসে কমপক্ষে একবার ঘুরতে যাওয়া উচিত (দূরে/কাছে যেখানেই পারেন) মন ভালো থাকার জন্য। আপনার যেমন বাহিরে কাজ, স্ত্রীর ও বাসায় কাজ, সারাদিন একজায়গায় কাজ করে ওখানেই দিন/রাত কাটলে আপনার যেমন লাগবে, তারও বাসায় থেকে এমন লাগবে। ১৬ বছর এর বিয়ে বলেছেন, কোনো কিছুর সলিউশন ডিভোর্স নয়। ডিভোর্স মানেই আপনি হার মানলেন পরীক্ষায়। করলে এরপর কি তা চিন্তা করে দেখেন, একলা দিন কাটবে অথবা আরেকজনের সাথেও একই সিচুয়েশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ইনশাল্লাহ আপনার এই সমস্যা শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে।
Admin
আপনার অবস্থা সত্যিই কষ্টকর এবং বিষাদময় মনে হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কে, বিশেষ করে বিবাহিত জীবনে, এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তগুলি সামলানো খুবই কঠিন হতে পারে। তবে, সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য কিছু পদক্ষেপ রয়েছে যেগুলো আপনি বিবেচনা করতে পারেন:
মনে রাখবেন, কোনো সমস্যা রাতারাতি সমাধান হয় না এবং সম্পর্কের উন্নতি করতে সময় এবং প্রচেষ্টা দুটোই প্রয়োজন। আপনার সন্তানেরা এবং আপনাদের দুজনের সুখের জন্য এই প্রচেষ্টাগুলো মূল্যবান।