আমি যে অফিসে কাজ করি, এখানে বসে প্রস্রাব করার কোন ব্যাবস্থা নাই। এক্ষেত্রে কি দাড়িয়ে করা জায়েজ হবে?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Admin
স্বাভাবিক অবস্থায় দাড়িয়ে পেশাব করা মাকরূহ। কিন্তু যদি এমন স্থানে পেশাব করতে হয়, যেখানে দাঁড়িয়ে ছাড়া করা সম্ভব নয়। যেমন দাঁড়িয়ে পেশাব করার বুথ ছাড়া আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকে, এমন আবর্জনাময় স্থান যে, এখানে বসে পেশাব করলে শরীরে নাপাক লেগে যাবার সম্ভাবনা থাকে ইত্যাদি উজর থাকলে উপরোক্ত সময় দাঁড়িয়ে পেশাব করা জায়েজ আছে।
কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় বা বিকল্প ব্যবস্থা থাকা অবস্থায় দাড়িয়ে পেশাব করা মাকরূহ।
যেসব কারণে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা সমর্থন করে না ইসলাম ও বিজ্ঞান
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) চৌদ্দশত বছর আগেই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন এবং বসে প্রস্রাব করার আদেশ দিয়েছেন। ফিকহের পরিভাষায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করাকে মাকরূহে তাহরিমি বলে অভিহিত করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
ওমর (রা.) বলেন- হজরত মুহাম্মদ (সা.) কোন একদিন আমাকে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখে বললেন, হে ওমর তুমি কখনই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করবে না। এরপর আমি আর কখনই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করিনি। (তিরমীযি হাদীস/১২)
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু (রা.)বলেন, তোমাদের মাঝে যারা বলে যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন, তাদের কথা বিশ্বাস করো না। কেননা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসেই প্রস্রাব করতেন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১২, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-৩৬৬।
অন্য হাদিসে এসেছে, প্রস্রাবের কারণে মানুষের কবরে আজাব হয়। তাই প্রিয়নবী প্রস্রাবের অপবিত্রতা থেকে নিজেদেরকে হেফাজতের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
দাড়িয়ে প্রস্রাব করা সম্পর্কে ইসলামের নিষেধকে চিকিৎসা বিজ্ঞান বিশেষভাবে সমর্থন করছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে-
ক্ষতিকর দিক:-
# দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পেটের উপর কোনে চাপ পড়ে না। ফলে দূষিত বায়ু বের হতে পারে না। বরং তা উপর দিকে উঠে যায়। তাই অস্থিরতা বাড়ে, রক্ত চাপ বাড়ে, হৃদযন্ত্রে স্পন্দন বাড়ে, খাদ্যনালী দিয়ে বার বার হিক্কা আসতে থাকে।
# দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের থলি সরু ও লম্বা হয়ে ঝুলতে থাকে ফলে প্রস্রাবের দূষিত পদার্থগুলো থলির নিচে গিয়ে জমা হয়। অথচ বসে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের থলিতে চাপ লাগে ফলে সহজেই ওসব দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।
# দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে দুষিত পদার্থগুলো মুত্রথলিতে জমতে থাকে; দীর্ঘদিন জমতে থাকা দুষিত পদার্থগুলো এক সময় কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করে।
# দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের যৌন শক্তি কমতে থাকে এবং পুরুষাঙ্গ নরম হয়ে যায় এবং সহজে সোজা ও শক্ত হতে চায় না। উত্তেজনার সময় যদিও শক্ত হয় কিছুক্ষণ পর কিছু বের না হতেই তা আবার ছোট ও নরম হয়ে যায় ।
# যারা নিয়মিত দাড়িয়ে প্রস্রাব করেন তাদের অবশ্যই শেষ জীবনে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনী রোগ হবেই ।
# দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে তার ছিটা দেহে ও কাপড়ে লাগে ফলে তা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সুন্নতি জীবন পরিচালনার মাধ্যমে দুনিয়ার শান্তি ও পরকালের মুক্তির তাওফিক দান করুন। আমিন।
অ্যাডমিনের দেয়া উত্তরের সাথে আমি এটুকু যোগ করতে চাই, আপনার অফিসে যেহেতু প্রস্রাব করার ব্যাবস্থা আছে, তাই ধারণা করা যায় সেখানে পায়খানা করার জন্য প্যান অথবা কমোডের ব্যাবস্থাও আছে। তাই ‘বসে প্রস্রাব করার ব্যাবস্থা নেই’ এটা বলার সুযোগ সম্ভবত নেই। আপনি প্রস্রাব করার জন্য ঐ প্যান বা কমোড ব্যাবহার করুন। আমি আমার এক প্রাক্তন অফিসে এটাই করতাম। বাদ বাকি আল্লাহ ভালো জানেন।