- প্রশ্ন১ঃসাহরীর শেষ সময় আসলে কখন? ফজরের আযান দেওয়ার ৪-৫ মিনিট আগেই নাকি অাযান শেষ হাওয়ার আগ মুহূর্ত?
প্রশ্ন ২ঃপিরিয়াড চলা অবস্থায় কুরআনের বিভিন্ন সুরা মুখে মুখে পড়া যাবে কি?কুরআান স্পর্শ না করে কুরআানের বিভিন্ন আয়াত পড়া যাবে?
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
ফজরের সময় থেকে দশ মিনিট আগে খাওয়া বন্ধ করার পছন্দনীয় সময় । তাই ফজরের সময় যদি সকাল ৬:০৬ হয়, তাহলে সকাল ৬টা নাগাদ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত , তবে সেহরী খাওয়ার জন্য অনুমোদিত সময় সকাল ৬:০৬(ফজর) পর্যন্ত প্রসারিত হয়, যে সময়ের পর তা হারাম বলে বিবেচিত হয়। তাই কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন করলে রোজা ভঙ্গ বলে গণ্য হবে।
পিরিয়ডের সময়ে মূলত কোরআনে কারিম তেলাওয়াত করার বিষয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। কিন্তু যতটুকু আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে সেটা হচ্ছে, কোরআন তেলাওয়াত করার যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি তেলাওয়াত করতে পারেন। কিন্তু প্রয়োজন না হলে তেলাওয়াত না করাটাই হচ্ছে উত্তম। এটি মুখস্থ তেলাওয়াত করার বিষয়ে।
আর প্রয়োজনটা হচ্ছে এ রকম। ধরুন, তিনি একজন কোরআনে হাফেজ। অনেক সময় তেলাওয়াত না করার কারণে তিনি হয়তো ভুলে যেতে পারেন। অথবা ধরুন তিনি একজন শিক্ষক। তাঁর প্রয়োজন রয়েছে, এ জন্য তেলাওয়াত করতে পারেন। অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট কোনো প্রয়োজন যদি থাকে, তাহলে তিনি মুখস্থ তেলাওয়াত করতে পারেন। তবে উত্তম হচ্ছে কোরআনে কারিম স্পর্শ না করা।
তবে তাফসির থাকলে কেউ কেউ তেলাওয়াতের বিষয়টিকে সম্পূর্ণ জায়েজ বলেছেন। এটি ইজতেহাদি মাসআলা। এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে এবং গবেষণার বিষয় রয়েছে।
যেহেতু কোরআন বলতে শুধু আল্লাহর কালামকেই বোঝায়। এখন কোরআনের মধ্যে যদি অনুবাদ অন্যান্য তাফসির থেকে থাকে, তাহলে সেটাকে মোসহাব বলা হয়, অর্থাৎ এটাকে কোরআন বোঝায় না। এ জন্য একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, যদি কেউ স্পর্শ করে তা করতে কোনো অসুবিধা নেই।
কিন্তু এতে কোনো সন্দেহ নেই যে কোরআনে কারিমের আদব হচ্ছে তাহারতের সঙ্গে, অর্থাৎ পবিত্রতার সঙ্গে কোরআন শরিফ স্পর্শ করা এবং তেলাওয়াত করা। তবে আপনি যদি মনে করেন যে আপনার প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে আপনি তেলাওয়াত করতে পারেন এবং তাফসির আপনি স্পর্শ করতে পারবেন।
ধন্যবাদ